সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে সৃষ্টি হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্য। কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের যে ফ্ল্যাটে আনার খুন হন, মঙ্গলবার (২৮ ম) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার কিছু আগে, সেই বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় চার কেজিরও বেশি মাংসখণ্ড, চুল ও হাড়ের গুড়া।
মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। তার কিছুক্ষণ পরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, এগুলো আনোয়ারুল আজিমের কি-না, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে। আর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আজ (বুধবার) এমপিকন্যা ডরিন কলকাতায় যেতে পারেন বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান জানান, কিছু সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই সিআইডির কাছে সেপটিক ট্যাংক ও বাথরুমের প্যান ভাঙার অনুরোধ করেন তিনি। শুধু তাই নয় গ্রেফতার হওয়া শিলাস্তি জেরার মুখে বলেন, বাথরুমে বার বার ফ্লাশ করার শব্দ পেয়েছিলেন তিনি। সে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ফ্ল্যাটের অভ্যন্তরীণ সুয়ারেজ লাইনের ম্যাপ জোগাড় করে নেয়া হয় ভাঙার উদ্যোগ। এর আগে নিউটাউন এলাকার খোচপুকুর ও বাগজোলা খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। নেয়া হয় ড্রোন ক্যামেরার সহায়তাও।
এদিকে সিআিইডি জানিয়েছে, এখনই শেষ হচ্ছে না মৃতদেহের অংশ খোঁজার উদ্ধার অভিযান। আরও বেশ কয়েকটি সন্দেহভাজন জায়গায় চালানো হবে চিরুনী তল্লাশি।
গেলো ১২ মে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। কলকাতার অদূরে বরাহনগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থাকার পর ১৩ মে দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ মে সংশ্লিষ্ট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বন্ধু। এর পর ২২ মে সিআইডি জানায়, নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে এমপি আনার খুন হয়েছেন।