21 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

এলো নতুন তথ্য, সেদিন এমপির জামা পরে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছিলেন কে?

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। পশ্চিমবঙ্গ ও ঢাকার পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে— নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়েছে এমপি আনারকে। এরপর গুম করতে লাশটির চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয়। হাড়গুলো আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে খাল ও বিভিন্ন জায়গায়। যদিও দাবির পক্ষে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি উভয় দেশের পুলিশ।

দাবি করা হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর অনুসন্ধান চালাচ্ছে উভয় দেশের পুলিশ। সিআইডি ও ডিবির সমন্বিত তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা গেছে— এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমন চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও তানভীর ভূঁইয়াকে আটদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার আদালত। এছাড়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালত।

আরও পড়ুনঃ  ছাগলকাণ্ডের ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে, জানালেন এমপি নিজাম

এদিকে রিমান্ডে ধৃত আসামিরা একের পর এক ‘গা হিম’ করা তথ্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র। তারা বলছে— খুন করার পরে রাজারহাটের ফ্ল্যাটে এমপির দেহ থেকে চামড়া ছাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এ সময় এমপির কাছে থাকা ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। এমনকি এমপি আনারের পরনে থাকা টি-শার্ট পরেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদ।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন— এমপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওই টাকা নিয়ে গেছেন সিয়াম হোসেন নামের অপর অভিযুক্ত। তিনি নেপালে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  এসএসসির ফল: সারাদেশে ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, হাসপাতালে ৩

জানা গেছে, মুম্বই থেকে পেশায় কসাই জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বয়স ২৪ বছর। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৩ মে সারারাত ধরে দেহ কাটতে হয়েছিল। কাজ করার সময় তাদের মদ খেতে হয়েছিল। পরের দিন জিহাদ এমপির জামা পরেই বেরিয়ে যায়। কারণ তার জামায় রক্তের দাগ লেগে ছিল।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে— ঘটনার দিন বিকেল ৩টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে যান এমপি আনার। এ সময় ফয়সাল ও শিমূল ভুঁইয়া তার সঙ্গে ছিলেন। শিলাস্তি রহমান ছিলেন বাসার ওপরের তলায়। এরপরই চলে অপারেশন।

এদিকে এমপি হত্যাকাণ্ডে প্রশ্ন উঠছে শিলাস্তির ভূমিকা নিয়ে। সূত্র বলছে, খুনের সময় কলকাতায় ছিলেন শিলাস্তি। কিন্তু তিনি ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যদিও শিলাস্তি নিজেই দাবি করেছেন— হত্যার সময় তিনি ফ্ল্যাটে ছিলেন। তবে হত্যার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।

আরও পড়ুনঃ  চৌদ্দগ্রামে ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা হয় লোটাস কামালের বাসায়

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণে— শিলাস্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এমপি আনারের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে মডেল হতে চাওয়া ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিনের। বছর কয়েক আগে একটি পার্টিতে শাহিনের সঙ্গে পরিচয় হয় শিলাস্তির। এরপর থেকে জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতে।

শিলাস্তিকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাইছিলেন না তিনি। পরে স্বাক্ষর করলেও; তিনি জানিয়ে দেন, ঘটনার দিন আমি ওই ফ্ল্যাটে ছিলাম, এটা ঠিক। কিন্তু এর বাইরে আমি কিছুই জানি না। সূত্র: হিন্দুস্তান

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ