শিলাস্তি রহমান। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় এই নামটিই ঘুরেফিরে আসছে। শিলাস্তি টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা গ্রামের আরিফুর রহমানের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে বড়।
শিলাস্তি ছোটবেলা থেকেই উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করতেন বলে জানিয়েছেন তার এলাকার বাসিন্দারা। এমপি আনার হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিলাস্তি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে নিজ গ্রামের লোকজনও তার শাস্তি দাবি করেন।
শিলাস্তি রহমান নামের ওই তরুণী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। দুই মাস আগেও শিলাস্তিকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন। তাকে দিয়েই হানি ট্র্যাপে ফেলে এমপি আনারকে সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই বাসায় নিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটে থাকত সে। উচ্চবিত্ত পরিবারের অনেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। সে মূলত এস্কর্ট গার্ল হিসেবে কাজ করত। এক বন্ধুর মাধ্যমে শাহীনের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর থেকে শাহীন তাকে নিয়ে বিভিন্ন পার্টিতে যাতায়াত করত। বিনিময়ে শিলাস্তিকে মাসিক হিসেবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচও দিতেন শাহীন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিলাস্তি অবশ্য দাবি করেছে, শাহীনকে সে আঙ্কেল বলে ডাকে। তাকে কলকাতায় ঘোরানোর জন্য ও কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়েছিল। খুনের ঘটনার সময় সে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের ওপরে ছিল। তবে এমপি আনারকে যখন ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে, তখন দরজা খুলে দিয়েছিল সে।
পরে যখন ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের নিচতলার কোনার একটি কক্ষ থেকে ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ আসে, তখন সে এ বিষয়টি নিয়ে আমান ও অন্যদের জিজ্ঞাসা করেছিল। তারা ফ্লোরের ময়লা পরিষ্কার করেছে বলে জানায়।