ফিলিস্তিনের গাজার রাফায় শরণার্থীশিবিরে চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া বোমা ব্যবহার করেছিল ইসরাইল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
রোববার (২৬ মে) গাজার রাফার একটি শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ২৩ শিশু এবং নারী ও বয়োবৃদ্ধসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হন, আর আহত হন ২০০ জনের বেশি।
ওই শরণার্থী তাঁবুতে হামলার একাধিক ভিডিও বিশ্লেষণ করে সিএনএন। এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা বোমার ধ্বংসাবশেষ বিস্ফোরকও বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করে দেখেন। এতে দেখা যায়, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা জিবিইউ-৩৯ বোমা ব্যবহার করেছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
সিএনএনের হাতে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, রাফায় তাঁবু দিয়ে তৈরি শরণার্থীশিবিরে বড় একটি অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ওই হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু। আর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ অনেকের মরদেহ বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা।
আল-জাজিরাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই হামলায় অনেকেই জীবন্ত পুড়ে মারা যান। বোমার আঘাতে শিশুদের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুর মরদেহও দেখা গেছে।
বিস্ফোরক অস্ত্রবিশেষজ্ঞ ক্রিস কব-স্মিথ মঙ্গলবার (২৮ মে) সিএনএনকে বলেন,
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং জিবিইউ-৩৯ বোমা তৈরি করে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করার জন্য এ বোমা ব্যবহার করা হয়। এতে আশপাশের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়।
তবে তিনি আরও বলেন,
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেকোনো বোমার ব্যবহারে এমনকি এই আকারের হলেও সব সময়ই বড় ধরনের ঝুঁকি থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ট্রেভর বল রাফায় ব্যবহার করা বোমার ধ্বংসাবশেষ দেখে এটিকে জিবিইউ-৩৯ বলে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, এই বোমার ওয়ারহেড অংশ অন্য বোমার চেয়ে আলাদা এবং এর গতিপথ নির্দেশক সরঞ্জাম ও ডানা একেবারেই ব্যতিক্রমী