চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক শাফকাত আর রুম্মানের গভীর রাতে মদপানে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় শিক্ষকের স্ত্রী ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রুম্মানসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুন) দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) চুয়েটের ৪৯তম ব্যাচের (শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষদিন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালে রাতে শাফকাত আর রুম্মান ছাত্র হলে মধ্যরাতে মদপান করতে যান। রাত ৪টার দিকে তার স্ত্রী কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং শিক্ষার্থীদের সামনে মদপান ও মাদক সেবনরত অবস্থায় অভিযুক্ত শিক্ষককে দেখতে পান। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত সবাইকে মারধর করেন এবং হলের নিচে নেমে রাস্তায় চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে শান্ত করে ঐ শিক্ষককে ধরাধরি করে শিক্ষক ডরমেটরিতে পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধর ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
এ বিষয়ে ড. সুনীল ধর বলেন, আমি এই কমিটি গঠন সম্পর্কে এখনো অবগত নই। তদন্ত কতদিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তদন্ত কতদিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে এ বিষয় সম্পর্কে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে।
শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরিবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।