Wednesday, February 5, 2025

বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থিদের ধস

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামীপন্থি নীল দল। সভাপতি, সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই বিজয়ী হয়েছেন নীল দলের প্রার্থীরা। বিএনপিপন্থি সবুজ দল থেকে মাত্র একজন বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ১৫টি পদের মধ্যে নীল দলে থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহ। সহসভাপতির তানভির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ, সহসম্পাদক এইউএম মান্না ভূইয়া, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান খান, কোষাধ্যক্ষ আফসানা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার।

আরও পড়ুনঃ  ধর্মপাশায় নাসরিন হারিয়েছেন দুই কূল

এ ছাড়া নীল দল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাক আহমেদ এবং প্রণয় রায় শুভ।

আওয়ামীপন্থিদের এই বিজয়কে ঘিরে ব্যাংক খাতে ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাতের ভোটে নির্বাচনে জয় পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারা জয় পেয়েছেন দিনের ভোটেই। আর ফ্যাসিবাদী সরকারের পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থিদের এমন বিজয়কে অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকাররা বলছেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে দেশের আর্থিক খাতে যে লুটপাট চলেছে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এতদিন তারা আওয়ামী লীগের চাপে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হওয়ার অজুহাত উপস্থাপন করত। এবারের নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আওয়ামী দোসরদের কব্জায় রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  দু’পক্ষের সমঝোতা না হলে ইজতেমার অনুমতি বাতিল বিশ্ব ইজতেমা

নাম প্রকাশ না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের সকল খাতে আওয়ামীপন্থিরা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও বাংলাদেশ ব্যাংকে ভিন্ন চিত্র। বিগত দুই গভর্নর ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদারের সাজিয়ে যাওয়া ছকেই চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোনো অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।

সরকার পতনের পর অপরাধীদের সব অপকর্মের তথ্য ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে বিশেষ গোষ্ঠী। বিভিন্ন অনিয়ম ঋণ জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের তথ্য সাংবাদিকদের হাতে গেলে ওই কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে যারা বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিতেন তারাই এখনো দাপটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক শাসন করছেন।

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনার হত্যার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন শিলাস্তিও, আসামিদের লোমহর্ষক বর্ণনা

দেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন দশা হলে চলমান সংস্কার কীভাবে সফল হবে এমন প্রশ্ন রাখেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্য প্যানেলগুলো থেকে বিজয়ীরা হলেন, সবুজ দল থেকে বিজয়ী একজন হলেন সহসভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী। আর হলুদ দল থেকে বিজয়ী পাঁচজন হচ্ছেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রামেন্দু দাস পলাশ, প্রচার সম্পাদক শাহ মো. ইয়াকিমুল আলম, সদস্য শাহরিয়ার রহমান সামস, সাবিকুন নাহার শিরিন, আবিদ আলী মোগল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ