শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে আলেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবারেও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোতে শনিবার খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে।
কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করারও পরামর্শ দেন মহিবুল হাসান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের বিশেষভাবে বলব—কিছুু কিছু রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে তাদের ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম করার পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন নিয়েও কাজ করছে। কওমি মাদ্রাসার সন্তানরাও আমাদের সন্তান, তারাও এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শের দিক থেকে তারা দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যাতে বিচ্যুত না হয়। আমি বলব, তাদের (শিক্ষার্থীদের) কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে বলতে চাই—আমাদের অনেক প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন আছে তারাও যাতে করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা, সংবিধানে যে চার মূলনীতি সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাউন্সেলিং করান। দেশপ্রেম, দেশের প্রতি আনুগত্য এবং সমাজে ধর্মনিরপেক্ষ একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ তৈরির কাজে অবশ্যই তাদের আনতে এবং তারা যেন বিচ্যুত না হয় অপপ্রচারকারীদের মাধ্যমে।