25 C
Dhaka
Thursday, December 26, 2024

ভারতে ধর্মীয় উৎসবে লাশের সারি, এত মানুষের মৃত্যু কীভাবে?

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০৭ জনে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী বলে জানা গেছে। কিন্তু একসঙ্গে কীভাবে সেখানে এত মানুষের মৃত্যু হলো, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২ জুলাই) হাথরাস জেলায় ওই অনুষ্ঠানে ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এক গুরু। ওই সময় এ ঘটনা ঘটে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, হাথরাসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গ’র (প্রার্থনা সভা) আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এক গুরুর সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন তারা। জানা গেছে, ওই গুরুর নাম নারায়ণ শঙ্কর হরি।

আরও পড়ুনঃ  ফের করোনা আতঙ্ক, সপ্তাহে মরছে ১৭০০ মানুষ

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খুব ছোট একটি জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অল্প জায়গায় বহু মানুষের ভিড়ে ‘দমবন্ধকর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অনুষ্ঠানস্থলে নিঃশ্বাস নিতে না পারায় ‘সৎসঙ্গে’ উপস্থিত লোকজনের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। এরপর লোকজন সেখান থেকে সরে যেতে তাড়াহুড়ো শুরু করলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আরও জানায়, অনুষ্ঠানের সময় আবহাওয়া খুব বেশি গরম ও আর্দ্র ছিল। তবে সেখানকার পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুনঃ  হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বিজয়ের হাসি হাসলেন যে তারকারা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সৎসঙ্গ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আবার যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তাও সোমবার (১ জুলাই) রাত থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ৫ বার সাপের কামড় খেয়েও তিনি জীবিত, চিকিৎসকরা হতবাক!

আর মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দিতেই তাড়াহুড়ো করে লোকজন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ  রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী

এদিকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তার নির্দেশে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ