28 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

আমেরিকা কনভিন্স হয়েছিল, নয়তো তখনই আওয়ামী লীগের পতন হয়ে যেত: সালমান

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রিমান্ডে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় গত ১৩ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে তার রিমান্ড চলছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে সালমান এফ রহমান তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ভাষ্য, আমাকে আটকে রাখলে, আমার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৮০ হাজার লোক বেতন পাবে না। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেই ঋণের কিস্তি দিতে পারব না। এতে দেশেরই ক্ষতি হবে। তাই আমাকে ছেড়ে দিন। আমি দেশ ঠিক করে দেব।

এ সময় ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি ঠিক করলে এখানেই করুন। কোর্টে গিয়ে কথা বলুন। কিন্তু আপনাকে ছাড়া হবে না। একের পর এক মামলায় কমপক্ষে এক বছর আপনাকে রিমান্ডে থাকতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েই শতকোটি টাকার মালিক সাদ্দাম

সালমান এফ রহমানের কাছে ডিবি জানতে চায়, গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকারের পতন ঠেকিয়ে দেয়?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পুরোনো ছবি
উত্তরে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমরা আমেরিকার পক্ষেই আছি, এটা আমরা ভারতের মাধ্যমে আমেরিকাকে বোঝাতে পেরেছিলাম। আমরা তাদেরকে আরও বুঝিয়েছিলাম বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তখন আমাদের এবং ভারতের কথায় আমেরিকা কনভিন্স হয়েছিল। না হলে তখনই আমাদের পতন হয়ে যেত।’

এর আগে সালমান এফ রহমান ডিবিকে জানান, তিনি আগেও ২ বছর জেল খেটেছেন। সুতরাং জেলে রাখলে তার সমস্যা হবে না কিন্তু দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে শেখ হাসিনার মেয়াদ সর্বোচ্চ আর যত দিন!

সালমান এফ রহমানকে ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, ‘মামলা তো মাত্র শুরু। কতগুলো মামলা হবে তা আমরাও জানি না। আপনাকে শুধু আদালতে যেতে হবে আর ডিবিতে আসতে হবে। এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২ বছর জেল খেটেছি। সুতরাং সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, আমাকে জেলে রাখলে দেশের ক্ষতি হবে। কারণ আমার নানা প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মী আছে। তারা বেতন পাবে না। ব্যাংক থেকে যেসব টাকা ঋণ নিয়েছি সেগুলো পরিশোধ হবে না। খবর দৈনিক যুগান্তরের।

প্রসঙ্গত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর পর থেকে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতারা। এই মুহূর্তে যারা ডিবিতে রিমান্ডে আছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক এমপি সাদেক খান, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল, সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ