বাংলাদেশের সিনেমায় ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক সালমান শাহ। তার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর)। মৃত্যুর এত বছর পরও তিনি এখনো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়। চিত্রনায়িকা ববিতার মতে- বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক সালমান শাহ।
দীর্ঘ এ সময়েও তার মৃত্যু নিয়ে রয়ে গেছে রহস্য। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন, এটি মানতে নারাজ তার মা নীলা চৌধুরী। মামলা পুনরুজ্জীবিত করে নতুন করে ছেলে ‘হত্যা’র বিচার চেয়েছেন তিনি। তার দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি, আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডন থেকে এক গণমাধ্যকে এমনটাই জানালেন নীলা।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক।
নীলা চৌধুরী বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত। আমরা বলতে চাই, আমি কথা বলব।
তিনি বলেন, আমাকে একজন জানান, আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দেয়ার একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে অথবা গুম করা হবে আমাকে। তখন বলি মানুষকে আবার গুম করে কীভাবে? ওই সময় তো গুম সম্পর্কে জানতাম না। এখন বুঝছি যে গুম হচ্ছে আয়নাঘর। অনেক সময় দলের অনেক বড় বড় নেতাদের দেখতাম। তারা হঠাৎ করেই আমার বাসায় চলে আসতো। একদিন বিষয়টি খটকা লাগে আমার কাছে। তারা কেন আমার বাসায় এত আসে?
অভিনেতার মা বলেন, তখন একদিন হাসান মাহমুদকে আমি বলি, যখন-তখন কেন চলে আসো? তো তিনি বলে যে আপা একটু চা খেতে আসি। তাকে বলি যে, আমি এসব পছন্দ করি না।
এছাড়া সালমান শাহর হত্যার ব্যাপারে তার স্ত্রী সামিরা সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানিং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সুকুমার রঞ্জন একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা।