নেত্রকোণার কর্মী সম্মেলন থেকে ফেরার পথে শহরের পুকুরিয়া ও কেন্দুয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী নিহত হন। এসময় কলমাকান্দা উপজেলা আমীরসহ দলটির আরো ৪ জন আহত হন।
শনিবার বিকালে নেত্রকোণা-কেন্দুয়া সড়কের কেন্দুয়া উপজেলার মাইজকান্দি এলাকায় ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এক কর্মী নিহতসহ ৩ কর্মী আহত হন। অপরদিকে, জেলা শহরের পুকুরিয়া এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন কলমাকান্দা উপজেলা আমীর।
নিহত জামায়াতের কর্মী এখলাছ উদ্দিনের (৬৫) বাড়ি উপজেলার মাসকা ইউনিয়নে। আহতরা হলেন, সেলিম খান (৬০),লাল মিয়া খান (৬৫)। তাদের দুজনই চিরাং ইউপির ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাকি এক কর্মীর পরিচয় জানা যায়নি। অপরদিকে, পুকুরিয়ায় আহত হলেন কলমাকান্দা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাবিবুর রহমান।
হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে জেলা জামায়াতে ইসলামীর মেডিকেল ওয়ার্ড সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুখ বলেন, ‘কলমাকান্দা আমীর হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহে ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্যে। কেন্দুয়ায় আহত তিনজন কর্মীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়।’
জেলা জামায়াতের এই নেতা জানান, আজ নেত্রকোণায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বিকালে কেন্দুয়া-নেত্রকোণা সড়কের মাইজকান্দি এলাকায় ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা হয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা হয়। অপরদিকে, কর্মী সম্মেলন থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে শহরের পুকুরিয়া এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন কলমাকান্দা উপজেলা আমীর। বাড়ির কাছাকাছি পৌছালে রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন আমীর হাবিবুর রহমান। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকায়।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে জামায়াতের কর্মীদের বহন করা অটোরিকশাটি দুমরেমুচরে যায়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান এখলাছ উদ্দিন।