প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন মো. নজরুল ইসলাম ডাকুয়া। সবকিছু ঠিকঠাক করতে বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে নিজে আগে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাঝ আকাশে বিমানেই তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ফ্লাইট হংকং বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নজরুল ইসলাম। পরে বিমানেই মারা যান তিনি।
নিহত নজরুল ইসলাম ডাকুয়া (৪৭) বরগুনার তালতলী উপজেলা ছোট বগি ইউনিয়নের বগিবাজার নামক এলাকার বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন নজরুল ইসলাম। সবকিছু গুছিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গিয়ে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় থাকার কথা ছিল নজরুল ইসলামের। আমেরিকায় যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে রওয়ানা দেন।
পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ‘পালাল’ রোহিঙ্গা কিশোরী
আরও জানা গেছে, একাই আমেরিকায় যাচ্ছিলেন তিনি। বিমানটি হংকং বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নজরুল ইসলাম। এ সময় বিমানের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ হংকং বিমানবন্দরে তার মরদেহ নামিয়ে রাখে।
নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রীর বোনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ বলেন, প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় আমার খালু, খালা ও খালাতো ভাইবোন আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক করে তিনি আগে রওয়ানা হন। সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক করে পরে পরিবার নিয়ে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে তিনি মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে বিমানের মধ্যে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার খালুর দুই ভাই আগে থেকে আমেরিকায় বসবাস করতেন। খবর পেয়ে তারা হংকংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। সেখান থেকে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশে রওয়ানা হবেন।