ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
তোফাজ্জলের হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তার নিথর দেহের পাশে লাঠি হাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের দেখা গেছে। একটি সুত্রের তথ্য অনুযায়ী গেস্ট রুমে তোফাজ্জলের হাত-পা বেঁধেছিল জালাল, সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাকে।
মারতে মারতে একপর্যায়ে তোফাজ্জল পড়ে যায়, এরপর পানি এনে তাকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এ সময় সবাই হাততালি দেয়, সবাই খুশি হয় কারণ তাকে আবার মারতে পারবে, এরপর আবার শুরু হয় পিটানো, এ দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ।
পরে পদার্থ বিজ্ঞানের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়, বলে মার ইচ্ছেমত মার। মাইরা ফেলিস না একবারে, এ সময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনে জড়িয়ে দেয়, পরে সুমনের তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে যায়।