‘ভালো নির্বাচন উপহার দিতে না পারলে মানুষ এ কমিশনকে ক্ষমা করবে না’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে, বিগত নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের শিক্ষা নিতে হবে। যদি আপনি আপনি ভালো এক নির্বাচন উপহার দিতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এই কমিশনকে কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করবে না। বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় গ্রহণযোগ্য এক নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যাকে পছন্দ তাকে যেন মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের আয়োজিত এক গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভোলার আবাসনে গ্যাস সংযোগ, ইন্ট্রাকোর সঙ্গে অবৈধ চুক্তি বাতিল, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন, ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাসহ সংখ্যানুগতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এই গণ সমাবেশটি করা হয়।
দেশের সাবেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে ফয়জুল করিম বলেন, সেই জালেম, খুনি, ডাকাত ও লুটেরারা আবারও ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ভোলার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ ও ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভোলার গ্যাসের ওপর এই জেলার জনগণের অধিকার বেশি। এ জন্য আমি বলবো ভোলার মানুষ যেন এই গ্যাস ব্যবহার করতে পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে প্রতিটি মানুষের অধিকার বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশে এমন এক সূর্য উদিত হবে সে সূর্যের নাম ইসলামী বাংলাদেশ। সব মার্কা দেখা শেষ, হাতপাখা মার্কার বাংলাদেশ।
এছাড়াও সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজি আতাউর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান রহমান মোমতাজি ও সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
