চট্রগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে খুন হওয়া অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে মুঠোফোনে সড়ক দুর্ঘটনা এবং নিজেদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চ্যানেল 24 কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আমরা শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ আছি। আমরা যে গাড়িতে ছিলাম তার সামনের গাড়িতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক ট্রাকচালক ও হেল্পারকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা দুজনই লিখেছেন, ‘মারবা? পারবা না। আমরা আবরার ও আলিফের উত্তরসূরী। মনে রেখো- শহীদেরা মরে না।’
অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের ফেরিফাইড আইডিতে পোস্ট করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে বহনকারী
প্রাইভেটকারকে ট্রাক চাপা! হত্যাচেষ্টা না নিরেট দুর্ঘটনা? তা অবশ্যই যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক।’
প্রসঙ্গত, এদিন চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম। দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
নিহত আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।