Thursday, January 16, 2025

অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে ইন্ধনদাতা রয়েছে: সেনাবাহিনী

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বনানীর অফিসার্স মেসে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এসব কথা বলেন।

ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, গত ১৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ এক হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

তাছাড়া, গত দুই সপ্তাহে ২৪টি অস্ত্র ও ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, চট্রগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে শান্তিতে রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির ১৭৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রাতেই দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদের

তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে ৭ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

বিভিন্ন ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের প্রসঙ্গে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ইন্ধনদাতারা সংখ্যায় অনেক কম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা পোস্ট করেন, তাদের অনেকেই ইন্ধনদাতা নন। না বুঝেই অনেকে পোস্ট করে থাকেন। ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।

চট্টগ্রামের আদালতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সেখানে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি ছিল। সে কারণে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও অনেক বড় ঘটনা ঘটতে পারতো, আরও খারাপ হতে পারতো।

আরও পড়ুনঃ  অছাত্রদের নিয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের কমিটি, পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ

ছাত্র ও শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এসব আন্দোলনে তিন ধরনের বিষয় চিহ্নিত করা গেছে। একটা হচ্ছে যারা চিহ্নিত অপরাধী, যাদের কাজই অপরাধ করা, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে। আরেকটা বড় গ্রুপ আছে যারা দেশের সাধারণ জনগণ। যেমন— গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন।

তিনি বলেন, ছাত্ররাই কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন এনেছে। সেজন্য আমরা সবাই আশা করছি যে, দেশটা একটা ভালোর দিকে যাবে। ছাত্রদেরই একটা অংশ এখন অন্য কারও ইন্ধনে পরিস্থিতি না বুঝে আন্দোলনে নামছে। তখন আমরা তাদের প্রতি চিন্তা করে কাজ করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমরা যখন গুলি খাচ্ছিলাম, সেনানিবাসে রাজনৈতিক নেতারা ছিল বৈঠকে’

কর্নেল ইন্তেখাব আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি, ছাত্ররা, শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ যারা আছেন প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশটাকে কোথায় দেখতে চাই ভাবা দরকার। সেখানে আমার নিজের কী দায়িত্ব, সেটা নিজেরা বুঝবেন।

তিনি আরও বলেন, ইন্ধন জাতীয় কিছু হচ্ছে কি না, সেটা তারা যাচাই করবেন যে, এমন কিছু হয়েছে কি না। ঘটনা সত্য হলেও এত ভায়োলেন্সলি করার প্রয়োজন নাই। অনেক আন্দোলনই শান্তিপূর্ণভাবে করা যায়। কারণ আমরা সবাই শান্তি চাই। আমরা যদি সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি তাহলে এমন অনেক ঘটনা আমরা পরিহার করতে পারি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ