Monday, March 24, 2025

এখনও শেষ হয়নি ছাপানোর কাজ, জানুয়ারিতে বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা

আরও পড়ুন

১ জানুয়ারি নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এখনও পৌঁছায়নি কোনো বই। অনেক বই ছাপানোর কাজই শুরু হয়নি। মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য বছর বেশিরভাগ বই এই সময়ে পৌঁছানো গেলেও সব বই দিতে মার্চ মাস হয়ে যায়। তাই এ বছর শিক্ষার্থীরা কখন সব বই হাতে পাবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

চলতি বছর প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রম চলছে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়। এরপর পাণ্ডুলিপি সংশোধনের কাজ শুরু করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে দরপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়।

আরও পড়ুনঃ  ডাকাতি করতে গিয়ে এক পুলিশ ধরল আরেক পুলিশকে

অন্যান্য বছর ছাপাখানাগুলোতে ডিসেম্বরের শুরুতে যে ব্যস্ততা থাকে, এবার তার চেয়ে কাজের গতি অনেক কম।

কারখানায় কর্মরতরা বলছেন, অল্প কিছুদিন হলো ছাপাখানায় বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। কারখানায় কাজ চলছে।

আগামী বছরের জন্য ৪০ কোটি বই ছাপাচ্ছে বোর্ড। তবে এখনও অনেক বই ছাপানো শুরুই হয়নি। ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হলেও ইন্সপেকশন এজেন্ট নিয়োগ না দেওয়ায় এখনও শুরু হয়নি ছাপানোর কাজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত সময় থাকলেও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রণক্ষেত্রে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ

মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, অভিজ্ঞতা বা গাফিলতি যে কোনো কারণে এবার বই ছাপানোর কাজ দেরি হচ্ছে। যেমন ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার এলেও নিয়োগ হয়নি ইন্সপেকশন টিম। টিম না থাকলে কাগজের অ্যাপ্রুভাল, ছাপার অনুমোদন, ছাড়পত্র আর ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। এসব কারণে এখনও অনেক বই ছাপানোর কাজই শুরু হয়নি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মোট চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বই ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে সারা দেশে পৌঁছে যাবে। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি আমরা।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ