প্রতিবেশী সিরিয়া ১৩ বছর ধরে যে শান্তি ও প্রশান্তি চেয়েছে তা যেন অর্জন করতে পারে সেই আশা ব্যক্ত করেছে তুরস্ক। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) তুরস্কের একে পার্টি গাজিয়ানটেপের ৮তম সাধারণ প্রাদেশিক কংগ্রেসে ভাষণে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেছেন, তুরস্কের ‘এমনকি কোনও দেশের নুড়ির দিকেও’ নজর নেই এবং ‘সিরিয়া শুধুই সিরীয়দের’। তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এই খবর জানিয়েছে।
এরদোয়ান বলেছেন, সিরিয়ার ইদলিবে বেসামরিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সূত্রপাত করেছে।
তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় একটি নতুন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে, যা আঙ্কারা উপেক্ষা করতে পারে না। কেননা, সংঘাতবিধ্বস্ত দেশটির সঙ্গে তাদের ৯১০ কিলোমিটার (৫৬৫ মাইল) সীমান্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সব জাতিগত, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উপাদানসহ সিরিয়া শুধুই সিরীয়দের।’
পিকেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়েও সতর্ক করেছেন এরদোয়ান। সংগঠনটি সিরিয়ায় নিজ স্বার্থের জন্য নতুন সংঘাতের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ক্ষমতার শূন্যতার অপব্যবহার করতে চায়।
জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন কোনও পদক্ষেপ তুরস্ক বরদাস্ত করবে না বলেও জোর দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান আরও বলেন, তুরস্ক যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এর অর্থ কী, দামেস্ক শাসক তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার ভাষণে এরদোয়ান আরও বলেন, তুর্কি এমন একটি সিরিয়া দেখতে চায়, যেখানে বিভিন্ন পরিচিতির মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করে এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গি ‘অদূর ভবিষ্যতে’ বাস্তবে রূপ নেবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোসহ সব দায়িত্বশীল নেতা যদি সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে তবে তা এই অঞ্চলের জন্য সর্বোত্তম হবে বলেও জোর দেন তিনি।
২৭ নভেম্বর আলেপ্পো শহরের পশ্চিমে গ্রামীণ এলাকায় শাসক বাহিনী ও শাসকবিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বিরোধী বাহিনী আলেপ্পো শহরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এবং ইদলিব প্রদেশজুড়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।
১ ডিসেম্বর বিরোধী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি আলেপ্পোর গ্রামাঞ্চলের তেলরিফাত জেলায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে/ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে অপারেশন ডন অব ফ্রিডম শুরু করে এলাকাটিকে সন্ত্রাসী উপাদান থেকে মুক্ত করে। এরপর বৃহস্পতিবার হামা এবং শুক্রবার হোমস প্রদেশের রাস্তান ও তালবিসেহ জেলা দখল করে অগ্রসর হতে থাকে শাসকবিরোধী বাহিনী।