হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগে ভারতীয়রা দুবাইয়ে যাওয়ার আবেদন করলেই ভিসা পেয়ে যেত। কিন্তু এখন অর্ধেকেরও বেশি আবেদনকারী ভিসা পাচ্ছেন না। ভিসার আবেদন বাতিল হওয়ার কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ এর সঙ্গে হোটেল বুকিং ও ফ্লাইট বুকিংও বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন আবেদনকারীরা।
দুবাই সরকারের নতুন ভিসানীতি অনুযায়ী, একজন পর্যটককে তার হোটেলের রিজারভেশনের প্রমাণ, বিমানের টিকিট, রিটার্ন টিকিট, সব কিছুই তাদের ইমিগ্রেশন পোর্টালে আপলোড করতে হয়। এছাড়া দুবাই যাওয়ার মতো ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে কি না তা নিশ্চিত করতে হয়। পর্যটকের শেষ ৩ মাসের বেতনও দেখাতে হয়। ছাড়া ন্যূনতম ৫০ হাজার রুপিসহ ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্যান কার্ড নথি হিসেবে যুক্ত করতে হয়।
এদিকে প্যাসিও ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নিখিল কুমার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘অনেক আবেদনকারীর নিশ্চিত ফ্লাইট টিকিট ও হোটেল বুকিংয়ের সব নথি যথাযতভাবে উপস্থাপন করার পরও ভিসা পাচ্ছেন না। অথচ আবেদনকারীরা এরই মধ্যে টিকিট কেনা ও হোটেল বুকিং বাবদ অর্থ খরচ করে ফেলেছেন। ভিসা না পাওয়ার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
বিহার ট্রাভেলসের পরিচালক ঋষিকেশ পূজারি বলেন, ‘আমার একজন গ্রাহক সম্পর্কে জানি। তারা চারজনের পরিবার ছিল এবং হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে আবেদনের যাবতীয় কার্যক্রম সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিল। তারপরেও তারা ভিসা পাননি। এতে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপারটি দুঃখজনক।