Thursday, May 15, 2025

নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা দেবরের

আরও পড়ুন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দূর সম্পর্কের প্রবাসীর ভাইয়ের স্ত্রীকে সড়কে পথ আটকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দেবর। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার মাইল্যা বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৫) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার নোয়াবাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী এবং ২ ছেলের জননী। অভিযুক্ত দেবর সাইফুল ইসলাম ওরফে খালেদ (৩০) একই এলাকার ডিশ লিটনের ছেলে।

আরও পড়ুনঃ  কাঠগড়ায় অঝোরে কেঁদে কেঁদে যা বলল শিলাস্তি

পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে শশুর রেজাউল হকের সঙ্গে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন পিংকি। ওই সময় তারা চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে পৌঁছালে খালেদ তাদের পথ আটকে দেয়। সেখানে বাগবিতন্ডায় একপর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুত্রবধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে রেজাউল হক ও গুরুতর আহত হন।

নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি জানান, তার ভাবির ফোন নষ্ট হওয়ার সুবাধে ওই এলাকার চাচাতো দেবর খালেদের মাধ্যমে বাজারে ফোন সার্ভিসংয়ে পাঠান। ওই সময় ফোন থেকে পিংকির ব্যক্তিগত ছবিও ভিডিও নিজের মুঠোফোনে নিয়ে নেয়। এরপর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করতে থাকেন। সাত লক্ষ টাকা আদায় ও পরকীয়া-শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পিংকিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ  ‘কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে জামাইকে নিয়ে আসব’—সাজ্জাদের স্ত্রী

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহত গৃহবধূর পরিবারের সাথে খালেদের পরিবারের আগে থেকে দ্বন্দ্ব ছিল। অনেক আগে দেবর-ভাবির মধ্যে হালকা সম্পর্ক ছিল বলেও জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়াও নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ