Thursday, January 16, 2025

চাঁদা না পেয়ে কারখানা মালিককে শ্বাসরোধে হত্যা, যা বললেন বিএনপি নেতা

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে চাঁদা না দেয়ায় এক পাওয়ারলুম কারখানা মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর গুমের উদ্দেশে লাশ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিহত নুর মোহাম্মদ (৪৮) সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। তিনি নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- নরসিংদীর মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানির ছেলে রবিন (২১) একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহর ছেলে রুবেল (২২)। কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের অব্দুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২), আব্দুল রশিদের ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদলে করা হলো বিজয় ২৪

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি এলাকার রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকার জানায় মোহাম্মদ। সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কারখানা মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই মধ্যে চাঁদা দাবি করা রুবেল, রকিব, রবিন ও আলামিন ও অজ্ঞাত নামা আরও একজনসহ পাঁচজন নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে ভোর রাতে বস্তাবন্ধি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

আরও পড়ুনঃ  অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা

কাঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসাক মিয়া বলেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের স্থানীয়রা আটকের পর চাঁদার কারণে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

মাধবদী সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাওয়ালুম মালিক নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা জানিয়েছে। বাকিরা অন্য কথা বলছে। সবগুলো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ