Monday, March 24, 2025

নির্বাচনের তিন বছর পর কেন্দ্রের পেছনে পাওয়া গেলো নৌকায় সিল মারা ২০০ ব্যালট

আরও পড়ুন

স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচনের তিন বছর পর নেত্রকোনার মদন উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় পড়ে থাকা শপিং ব্যাগে মিলেছে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ২০০ ব্যালট পেপার।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাড়রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেছনে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ থেকে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলায় ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাফায়েত উল্লাহ রয়েল নির্বাচিত হন। নির্বাচনের দিন বাড়রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাফায়েত উল্লাহ রয়েলের লোকজন নৌকা প্রতীকে জোরপূর্বক ভোট দেয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহতও হন।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি অফিসে দুই এক পয়সা না দিলে অফিস চলেনা, এটা তো সিস্টেম: উপ-খাদ্য পরিদর্শক

নির্বাচনের তিন বছর পর চেয়ারম্যান পদের সাফায়েত উল্লাহ রয়েলের নৌকা প্রতীকের সিল মারা ২০০ ব্যালট ও ইউপি সদস্য পদে বাচ্চু মিয়ার ৬৫টি সিল মারা ব্যালট পেপার দেখতে পান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সুতিয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা হিরন মিয়া বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একটি শপিং ব্যাগ দেখতে পাই। ব্যাগটি হাতে নিয়ে দেখি সিল মারা ব্যালট পেপার। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাই।

স্থানীয় লোকজন দাবি করেন, গত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দেয়। যার প্রমাণ আজ মিলেছে।

আরও পড়ুনঃ  বিয়ে বাড়িতে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে কনেকে অপহরণ! ভিডিও ভাইরাল

ওই নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে (পরাজিত প্রার্থী) বাচ্চু মিয়া দাবি করেন, তিন বছর আগেও বিদ্যালয়ের পেছন থেকে আমার ফুটবল প্রতীকের ব্যালট পেপার উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে গেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, তিন বছর পূর্বের ঘটনা আমার মনে নেই। আমার কেন্দ্রে এমন কোনও অভিযোগ ছিল না।

মদন উপজেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা হামিদ ইকবাল জানান, যথারীতি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ব্যালট পেপারের হিসাব করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বক্তব্য নিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা

মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়ত হোসেন বলেন, আমি শুনেছি, একটি বিদ্যালয়ের পেছন থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। তা পুলিশের কাছেই আছে।

মদন থানার ওসি নাইম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিল মারা ব্যালট উদ্ধার করে নির্বাচন অফিসে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, ব্যালট পেপার উদ্ধার করে নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ