Wednesday, February 5, 2025

গুলি করে হত্যা: পরিবার বলছে ছাত্রদল করতো, পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ী

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে হুমায়ুন কবির (৩০) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজার মসজিদের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করলেও বিকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা হয়নি। নিহত হুমায়ুন মাধবদীর মেহেরপাড়া এলাকার একরামুল হকের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে পাঁচদোনা বাজার এলাকার একটি মাঠে হুমায়ুনসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ১২টার দিকে শাহ আলম ও টিটু নামে একই এলাকার দুই যুবক তাকে কথা বলার জন্য খেলার মাঠের অদূরে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ত মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই গুলির শব্দ শুনতে পান মাঠে থাকা অন্যরা। এ সময় মাঠে থাকা তার বন্ধুরা এগিয়ে গেলে তাদেরকে লক্ষ্য করেও গুলি ছুড়ে মোটরবাইকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

পরে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হুমায়ুনকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি।

এদিকে, এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে ছাত্রদল কর্মী দাবি করলেও থানা, ইউনিয়ন কিংবা কোথাও কোনও তার পদ-পদবির খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, হত্যার স্বীকার হওয়া হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তিনটি মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে পুলিশও সুনিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না।

আরও পড়ুনঃ  খালে জাল টেনে খোঁজা হচ্ছে এমপি আনারের লাশের টুকরো

নিহতের ভাই আল মামুন দাবি করেন, একই এলাকার শাহ আলম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শাহ আলম একজন পেশাদার খুনি। বাদল নামে একজনের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। সেই বাদল মার্ডারের টাকার জোগানদাতা বলে ধারণা করছি। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।

একই এলাকার বাসিন্দা মাধবদী কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত মনির হোসেন বলেন, তার পরিবার আগে থেকেই বিএনপির রাজনীতি করে আসছে। নিহত হুমায়ুনের বাবা মেহেরপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ছিলেন এবং হুমায়ুন নিজেও ছাত্রদল করতো। তবে কোথাও কোনও পদ-পদবিতে ছিলেন কি না তা জানাতে পারেননি তিনি। তবে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত-শিবিরের হামলায় নয়, যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্ন হয় ভাইয়ের আঘাতে

পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান বলেন, হুমায়ুনের নামে দুটি মাদকসহ মোট চারটি মামলা আছে। সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এদিকে তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ