বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর সন্ধান মিলেছে। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এই আবাসিক শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলে প্রবেশ করেন। ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. ফারুক শাহ বলেন, হলে আসার পর খালেদের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি কিছু বলতে চাচ্ছেন, তবে ভয়ে বলতে পারছেন না। তার ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদকে দেখতে গতকাল সকালে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ফারুক শাহ, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হামজা ও খালেদের স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খালেদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। গতকাল তিনি বলেন, খালেদ ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমি তার সঙ্গে একান্তে কথা বললে তিনি আমাকে তার গুম হওয়ার ঘটনাটি জানান। খালেদের ভাষ্যমতে, শুক্রবার বিকেলের দিকে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় রিকশাতেই অজ্ঞাত কারণে তিনি জ্ঞান হারান। পরবর্তী সময়ে তিনি যখন জ্ঞান ফিরে পান, তখন নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পান। এ সময় তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছিলেন। পরে তিনি আবারও জ্ঞান হারান। দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পান তখন তিনি নিজেকে পঞ্চগড়ের কোনো একটা জায়গায় দেখতে পান। তখনো মাইক্রোবাস চলমান ছিল। তৃতীয়বার যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে দিলে তিনি ঢাকা পৌঁছে হলে ফিরে আসেন।