Thursday, January 16, 2025

পরিচয় গোপন করে আকাশ মণ্ডল কেন ইরফান হলেন

আরও পড়ুন

বাগেরহাটের যুবক আকাশ মণ্ডল তার পরিচয় গোপন করে ইরফান নামে কেন জাহাজে চাকরি নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় কার্গোজাহাজ এমভি আল বাখেরার মালিকও চিন্তিত। গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ইরফান অভিযোগ করেছেন, তাকে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি করেছেন জাহাজের মালিক।

চাঁদপুরের মেঘনায় সংঘটিত ৭ খুনের মামলার আসামি আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছে এবং নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার আওতায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশের মো. কালাম খান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আদালতের বিচারক মুহাম্মদ ফারহান সাদিক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুনঃ  ৭ সমন্বয়ককে ‘ভুয়া’ দাবি করে বিক্ষোভ, নেপথ্যে যে কারণ

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে র‌্যাব-১১ এর বিশেষ একটি দল বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে আত্মগোপনে থাকা ইরফানকে গ্রেপ্তার করে। তার প্রকৃত নাম আকাশ মণ্ডল, বাবা জগদীশ মণ্ডল। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায়।

কার্গোজাহাজ এমভি বাখেরার মালিক মাহবুব মোর্শেদ ডাবলু জানান, ইরফান নামে পরিচয় দিয়ে আকাশ মণ্ডল তার জাহাজে খালাসির পদে চাকরি নেন। তিনি আরও জানান, কেন এবং কী কারণে সে প্রকৃত নাম গোপন করেছিল, তা আমাদের কাছেও অজানা।

আরও পড়ুনঃ  সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মি, কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে?

এদিকে, গতকাল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান বিচারককে জানান, মানুষ ভুল করে। আমিও ভুল করেছি।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম জানান, ইরফান আদালতে স্বীকার করেছেন যে তিনি ৭ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে। নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর সদরের গোলাম কিবরিয়া (৬৫), একই এলাকার শেখ সবুজ (২৭), নড়াইলের মো. সালাহউদ্দিন (৪০), আমিনুর মুন্সি (৪১), মাগুরার সজিবুল ইসলাম (২৯), কিশোর মাজেদুল (১৬) এবং মুন্সিগঞ্জের রানা (২৮)।

আরও পড়ুনঃ  টাকা-সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট হয়ে গেছে মোল্লা কলেজের

নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসিবুল আহসান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত করেই তাদের হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরপরই জাহাজের মালিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার সময় চট্টগ্রাম থেকে সার বোঝাই করে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি যাচ্ছিল এমভি আল বাখেরা। মালিক পক্ষ জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আদালতের অনুমতি চেয়েছে।

এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে সিআইডি ও পিবিআই। পাশাপাশি শিল্পমন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটিও কাজ করছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ