বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহান সাদিকের আদালতে শাওনকে তোলা হয়। এ সময় আদালত দুটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম মেহেদী এতথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় আদালতে শাওনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জসিম মেহেদী, দুলাল মিয়া পাটোয়ারী ও আব্দুর রহিম পরান।
মামলার জামিন শুনানি চলাকালে আদালত চত্বরে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম জিসানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শাওনকে আটক, নির্যাতন এবং মামলা দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার সারাদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে শাওনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ এবং তার দ্রুত মুক্তি চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভের ডাক দেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। এরই মধ্যে শাওনের দুটি মামলা জামিন হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির নেতাদের নির্দেশে দুপুরে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
জামিন ব্যাপারে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম জিসান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সত্য ও ন্যায়ের জয় হয়েছে। দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে শহিদ জিয়াউর রহমানের সৈনিক, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানের কর্মীরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ শাওন কাবী রিজার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান। দেশের যে কোনো সংকটকালে ছাত্রদল বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে বলেন এই ছাত্র নেতা।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও তার সঙ্গীদের মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী রিজাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। যার কারণে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশক্রমে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ছাত্রদল সভাপতি শাওনকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শাওন কাবী রিজাকে রাতেই থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাইভেটকার গতিরোধ করে মারধর ও পুলিশের কাজে বাধা, এ দুটি বিষয়ে মামলা দায়ের হয়। পরে ওই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে তাকে বুধবার বিকেলে চাঁদপুরের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
জামিন পেয়ে ছাত্রদল নেতা শাওন কাবী বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার ওপর অভিযোগ চাপিয়েছিল। আদালত ন্যায়বিচার করেছেন।