Saturday, May 10, 2025

আহত এবং শহীদদের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না– মুগ্ধর বাবা

আরও পড়ুন

জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের স্মরণে ঢাকার উত্তরা মুগ্ধ মঞ্চে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার ঢাকা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আশরাফুল হক এর আয়োজনে শনিবার (২৩ মার্চ) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “হাজার শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বলছি—আমার মুগ্ধ জীবন দিয়েছে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে, ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটাতে। আহতদের, যারা চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচন চাই না। এমন নির্বাচনের জন্য আমাদের সন্তানরা জীবন দেয়নি। আগে চাই বিচার—খুনীদের, গুমকারীদের বিচার।”

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে সরিয়ে আনা হতে পারে রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ জসিম উদ্দিনের মামা নাসির উদ্দীন, শহীদ জাবির ইব্রাহিমের পিতা মো. কবীর হোসেন, শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার, শহীদ রবিউল ইসলামের চাচা আহম্মদ সাঈদ, শহীদ সামিউ আমান নুরের পিতা মো. আমান উল্লাহ, শহীদ সানজিদ হোসেন মৃধার পিতা মো. কবির হোসেন মৃধাসহ অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

এসময় উপস্থিত সবাই একযোগে স্লোগান দেন—আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ!

ইফতার মাহফিলে গুরুতর আহত আন্দোলনকারী ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—নোমান রেজা, ইকবাল হাসান, সাগর হাওলাদার, রবিন চৌধুরী, তানজিল রেজোয়ান, ওমর ইমু, মেহেদী আব্দুল্লাহ শাফি, শহীদ মোহাম্মদ আকাশ ব্যাপারীর মেয়ে কণা আক্তার, শহীদ তাজুল ইসলামের জামাই মামুন, গুরুতর আহত শাহ মোহাম্মদ আলমগীর, তোজাম্মেল হক সোহাগ, ইখতিয়ার উদ্দিন সরকার, গুলিবিদ্ধ মো. আল আমিন, এসএম আরিফুল ইসলাম, মো. আলী আকবর, একেএম ওবায়দুল হক, শাহরিয়ার মান্নান, শহীদ ফরহাদ মিয়ার ছেলে সামিদ, শহীদ মনির হোসেনের বড় বোন সানজীদা, শহীদ আব্দুন নুরের পিতা আবুল বাসার, শহীদ জসিম উদ্দিনের বড় ভাই নুরুল ইসলাম, শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভিরের মা বিলকিছ জামাল, শহীদ আকাশ ব্যাপারীর পিতা আজিজ ব্যাপারী প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  ভারতে কাজ করলো না জাহাঙ্গীর কবির নানকের তদবির

দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন তানজিমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মীম আতিকুল্লাহ। এছাড়াও সংগঠক শাহিদুর রহমান মোল্লা, কামরুল আহসান, আব্দুল্লাহ রেজা, আহসান হাবীবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

মাহফিলে উপস্থিত অর্ধশত শহীদ পরিবারের সদস্য এবং প্রায় এক হাজার আহত ও পঙ্গু জুলাই যোদ্ধা আবারও তাদের দাবি জানান—হত্যা, গুম, নির্যাতনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো নির্বাচন মেনে নেবেন না। উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের কণ্ঠে একই দাবি প্রতিধ্বনিত হয়—আগে ন্যায়বিচার, তারপর নির্বাচন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ