Thursday, February 13, 2025

টঙ্গীতে আগুন, পুড়ে ছাই ৬ দোকান

আরও পড়ুন

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে সোনাভান মার্কেটের বিপরীতে একটি মশলার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে একটি চালের আড়ৎ এবং আলু ও পেঁয়াজের কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সাথে আরও দুইটি ইউনিট যোগ দেয়। পরে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুনঃ  আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেন ইভা !

‘রূপসী বাংলা’ চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন জানান, আড়তে প্রায় ৫ হাজার বস্তা চাল ছিল। সব চাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাস চালককে আসামি করে মামলা

ফরিদপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কোতয়ালী থানায় বাস চালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের এক স্বজন। বাদী ইমামুল শেখ নিহত ইকবাল শেখের ছোট ভাই। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের সাদেক শেখের পুত্র। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৭৫৯) সাথে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত এক পরিবারের চারজনসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সকলেই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা-দিল্লি সংলাপে বরফ গলবে কি? চতুর্মুখী চাপে ভারত

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৭.৪০ মিনিটে নিহতরা ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য একটি পিকঅ্যাপ ভ্যানে রওনা দেন। পথে কোতয়ালী থানা এলাকার দিগনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকঅ্যাপ ভ্যানটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ইকবাল শেখসহ তিনজন মারা যায়। আমি বাস চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

আরও পড়ুনঃ  ৮০ কি. মি. গতিতে গাড়ি চালানোর সময় পায়ের নিচে নরম অনুভব, তাকিয়ে দেখেন বিষধর সাপ

মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলার এজহার জমা দেয়া হয়। এরপর রাত একটায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন পপি বেগম (২৫) মারা যান। তাতে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫-এ।

পপি বেগম নিহত ইকবাল শেখের স্ত্রী। বুধবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত জেলা প্রশাসনের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ