গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে আজিদা বেগম নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মাথায় সংশ্লিষ্ট হত্যাকারী ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ গাজীপুর ও র্যাব-১১ কুমিল্লার সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আজিদা বেগমের স্বামী মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৫৫)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার উনমান্দি গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
তাকে কুমিল্লার কোতয়ালী থানার বলেশ্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অপর আসামি রমত আলী (৫৫) নেত্রকোনা সদর উপজেলার জামাদি গ্রামের আরশ আলীর ছেলে। তাকে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে র্যাব জানায়, ইদ্রিস মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিরেন আজিদা বেগম। ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সব সময় তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। কলহ চরম পর্যায়ে পৌছলে গত ২০ এপ্রিল তিনি তার স্ত্রী আজিদাকে হত্যার করার মনস্থির করেন। সে অনুযায়ী রহমত আলীকে নিয়ে সেদিন রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে তারা আজিদার ঘরে প্রবেশ করেন।
সেখানে গিয়ে আজিদাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী ইদ্রিস মিয়া। আজিদাকে হত্যার কাজে সহযোগিতা করেন রহমত আলী। তিনি বালিশ চেপে ধরে আজিদার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মোস্তফা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তারা অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জুন্নুরাইন বিন আলম যায়যায়দিনকে বলেন, এ ঘটনার পর “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকার হওয়ায় মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত করে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্ৰামের একটি বাড়ি থেকে থেকে আজিদা বেগম নামের ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আজিদা বেগম (৩৮) নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের মৃত রুমালী হোসেনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় জৈনা বাজার এলাকার জনৈক বাবুল খানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের হোটেলে কাজ করতেন। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক ছিলেন।