ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস কী, গতকাল শুক্রবার (৭ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে জানতে চেয়েছিলেন ছাত্রদলের বাংলাদেশ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। শিবিরের টাকা কোথায় থেকে আসে তা জানিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, আমাদের টাকা কোথায় থেকে আসে তার সুনির্দিষ্ট খাত আছে, সেগুলো আমরা উল্লেখ আগেও করেছি, এখনও করছি। কিন্তু ছাত্রদল বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করে, বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে, তাদের টাকা কোথা থেকে আসে? আমার যেভাবে আমাদের আয়ের উৎস প্রকাশ করি, আশা করি ছাত্রদলও সেভাবে প্রকাশ করবেন।
ছাত্রশিবিরের আয়ের উৎস কী, জানতে চাইলে ছাত্রশিবির সেক্রেটারি বলেন, ইফতার আয়োজনে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা বড় ধরনের সহযোগিতা করেন। আমাদের সংগঠনের সকল সাবেকরা বর্তমান দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহযোগিতা করেন। ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক সদস্যই বায়তুলমাল দেন, সেখান থেকেও আমাদের আয় হয়। এছাড়া সংগঠনের প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বায়তুলমালের আয়ের উৎস। এ সকল আয় থেকে সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হয়। ইফতারের ব্যয়ও তার মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। এমনকি বাড়ি থেকে পাঠানো টাকাও সংগঠনের জন্য ব্যয় করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি গণমাধ্যমে বলেছেন তারা প্রতিদিন ইফতারিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করছেন। যদি প্রতিদিন তিন লাখ টাকা করে ব্যয় করেন, তাহলে এই রমজান মাসে তাদের মোট ৯০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে তাদের (ছাত্রশিবির) কাছে জানতে চাই, এই ৯০ লাখ টাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাধারণ সংগঠন হিসেবে তারা কী অর্জন বা আয় করেছেন। তাদের অর্থায়নের উৎস কী সেটাও আমরা তাদের কাছে জানতে চাই।