বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, শেখ মুজিব এক মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করার মতো নেতা। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সব কিছু হিন্দুস্তানের কাছে ইজারা দেওয়ার সরকার ছিল। তাই তিস্তার পানি আনতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘প্রতিবাদী অবস্থান’ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আজ পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন ‘জাগো বাহে, তিস্তার জনগণ জাগো’ স্লোগান দিতে হয় তারেক জিয়াকে।
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে ডলার-পাউন্ড নিয়ে পালিয়েছে, তারা কিন্তু কারো বাসায় থাকে না। তারা বিদেশে ভিক্ষা করে না। তারা বিদেশের ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে। আর হাসিনা ২৮টি ব্রিফকেস নিয়ে ভারতে মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের টাকার অভাব নেই। অভাব ড. ইউনূসের শাসন আমলের ১৮ কোটি মানুষের। দেশে কোনো বিনিয়োগ নেই, গার্মেন্ট সেক্টর অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা, কিছু লোক আবারও ষড়যন্ত্র, শ্রমিক অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলবেই, কারণ তাদের টাকার অভাব নেই, তাদের কাছে অস্ত্রের অভাব নেই।
ঢাকা শহরে লুকিয়ে রাখার মতো লোকেরও অভাব নেই। আইজিপি, কমিশনার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, মেহেদী-হারুনরা কেন গ্রেপ্তারের আওতায় এলো না। আমি চিৎকার দিয়ে বলব জাহাঙ্গীর একজন সৎ ব্যক্তি। আপনি কেন এই সততার প্রমাণ দিতে পারছেন না। কারা আপনাকে আটকাচ্ছে। এদের গ্রেপ্তার করার জন্য তাদের নাম আমাদের কাছে প্রকাশ করুন। আমরা আন্দোলনের ভয় পাই না। আমরা আয়নাঘরকে ভয় পাই নাই। উপদেষ্টা মহোদয় আপনার কোনো ভয় নাই। এদের গ্রেপ্তার করে মুখ থেকে তথ্যগুলো বের করুন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি এমন দাবি আপনার কাছে করি না, যে বিএনপির তারেক রহমানকে বিনা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন। আমাকে চিনি সিন্ডিকেট, ছোলা, বুট সিন্ডিকেটের প্রধান করে দেন। যারা গরিব-দুঃখী মানুষের ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লুট করে নিয়ে গেছে, সেই পরিবারের কয়জনকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে পেরেছেন? একজনও না।