কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় সায়মন হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত সায়মন দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। মঙ্গলবার ইফতারের পর সে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বের হয়। রাত ৮টায় স্থানীয়রা রেললাইনের পাশে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবার ও পুলিশকে জানায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই মঙ্গলবার মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি বের হয়েছিল। রাত ৮টায় লোকমারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, সায়মন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত এবং তার কোনো শত্রু ছিল না। তবে শিমুল, আসিফ, রাসেল, সাব্বিরসহ কয়েকজন বন্ধু ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, সায়মন ঘটনার দিন নোয়াগাঁও গ্রামের খেলার মাঠে কিছু ছেলেদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে তাকে দুই ব্যক্তির সঙ্গে রেললাইনের পাশে কথা বলতে দেখা যায়। পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে ওসি এমরান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার বাবা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মরদেহের পাশে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও মানিব্যাগ পাওয়া গেছে। মাথা ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে, তবে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।