জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এই বোনকে আমরা যেভাবে হারালাম। এর জন্য যারা দায়ী তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক যে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, সেটাকে যে কোনোভাবে বেঁধে দেওয়া ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করা। বাংলাদেশে আজ থেকে ৫/১০ বছর আগে আমার বোনের (শিশুটি) মতো ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তাদের বিচারগুলো যদি হতো তাহলে আমাদের বোনকে এভাবে হারাতে হতো না।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা আমাদের এই বিচার ব্যবস্থায় নানা রকম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দেখেছি, এই বিচার ব্যবস্থায় আমরা দীর্ঘসূত্রিতা দেখেছি। আমরা সামগ্রিকভাবে কোনোদিন একটা দেশে যেমন বিচার ব্যবস্থা থাকা উচিত, সেটা দেখিনি। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এখন সময় হয়েছে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক মৃত্যুদণ্ড শাস্তিটা নিশ্চিত করা এবং এর মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো বোনকে না হারাতে হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা যদি এবার আমরা না করতে পারি তাহলে দিনশেষে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা আর ব্যর্থ হতে চাই না।
তিনি বলেন, আমাদের মায়ের যে আহাজারি, বাবার যে পাগল প্রায় অবস্থা সেটা কোনো দিন এ রকম কথাই বা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমরা শুধু একটা জিনিসই চাই, ওই ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড চাই আর ধর্ষণ নামক এই যে নৃশংস ঘটনা এইগুলো যেন আজকে থেকে বাংলাদেশে চিরতরে শেষ হয়ে যায় সেই উপযুক্ত ব্যবস্থা দেখতে চাই।
এদিকে শিশুটির মরদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। সেখান অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ শহরের নোমানী ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মানুষের ঢল নামে। বাদ এশা তার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।