Monday, February 3, 2025

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ

আরও পড়ুন

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের যে কোনো ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী বা শুরায়ে নেজামের কোনো তাবলিগের সাথীর বড় কোনো জমায়েতও কাকারাইলের আশপাশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের কোনো অনুসারী কাকরাইল মসজিদে জমায়েত হতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের উদ্দেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দের ঢাকা ত্যাগ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সাদপন্থি ও শুরায়ে নেজামের বিভেদ পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কাকরাইল মসজিদে থাকা না-থাকা নিয়ে তাবলিগের দু-পক্ষে সংঘাতের আশঙ্কা থাকায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণের প্রতি সরাসরি কোনো নির্দেশনা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  স্পন্সর ভিসায় সুখবর, ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক নেবে ইতালি

এর আগে, তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরায়ে নেজামের অনুসারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

তারও আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ইজতেমার ময়দানে ভোররাতে তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষের বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় ৪ জন মারা গেছেন। তখন থেকেই ইজতেমার মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপর কাকরাইল কার দখলে থাকবে এ নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাদপন্থীদের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কাকরাইল মসজিদে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ