Wednesday, January 15, 2025

পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহতের ২৪ ঘণ্টার মাথায় সীমান্তে প্রতিপক্ষের ৮ মৃতদেহ

আরও পড়ুন

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের ডুরান্ড লাইনের সীমান্ত চৌকিগুলোতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় আট তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে আফগানিস্তানভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য খামা প্রেস। এই হামলার ২৪ ঘণ্টা আগে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। খবর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ফার্স্ট পোস্টের। তবে দেশটির অন্য কয়েকটি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, সীমান্ত সংঘর্ষে মাত্র এক পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, আফগান তালেবান দাবি করেছে যে পাল্টা আক্রমণের সময় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  কাটার পর মাংস ওজন দিয়েছিলেন কসাই জিহাদ

খামা নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)- এর সশস্ত্র যোদ্ধারা তালেবান চেকপয়েন্টের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের মূলভূখণ্ডে ঢুকে পরার চেষ্টা করেছিল, তবে তারা সফল হতে পারেনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, টিটিপি যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের সময় তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে ছিলেন। তবে তালেবান সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গণমাধ্যম জানিয়েছে যে সংঘর্ষের সময় প্রায় ১৫ জন টিটিপি যোদ্ধাও নিহত হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কাবুলে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। এরপর বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার তালেবান যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ  ‘বাবা তুমি শান্তিতে ঘুমাও, আবার আমাদের দেখা হবে’—নিহত বুয়েট শিক্ষার্থীর মা

ডুরান্ড লাইনের সীমান্ত বরাবর চলমান এই সহিংসতা এ অঞ্চলের অস্থিতিশীলতাকে প্রতিফলিত করে এবং পাকিস্তান ও তালেবানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের গভীরতাকে তুলে ধরে। এই সংঘর্ষ শুধু সামরিক ক্ষয়ক্ষতির কারণই হচ্ছে না বরং সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলোকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে।

উভয় পক্ষই তাদের অবস্থানে দৃঢ় থাকায় পাল্টা আক্রমণগুলো সহিংসতার চক্রকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এটি সংঘর্ষের মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, বলে মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। কারণ, সামরিক সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ