চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা সদরে মিরসরাই উপজেলা স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সোসাইটির ব্যানারে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। গত ২০ ডিসেম্বর এই মেলার শুরু থেকে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মেলা এলাকায় দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নামে যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন।
মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
সে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- সজিব (২৩), আরাফাত (২৩), আসিফ (২০), রাহাত (২০), হাসান (২৮), রাশেদ (১৯), হৃদয় (২৭), শাকিল (২০)। তারা মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গুরুতর আহত শাকিলকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরসরাই পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সঙ্গে মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের হামলায় আহত হয় কামরুল হাসানের একজন কর্মী।
পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদ হুসাইনের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় হামলায় মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গলিতে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন ও মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানের মোবাইল ফোনে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
মিরসরাই পৌরসভা যুবদলকর্মী রিয়াদ হোসেন জানান, মিরসরাই স্টেডিয়ামে চলা বাণিজ্য মেলায় সোমবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের কথাকাটি হয়, পরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদলকর্মী মুন্না নিহত হয়।
এই ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। নিহত মুন্না দলের নিবেদিত কর্মী ছিল।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় জামশেদ আলম বলেন, মুন্না নামের একজনকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ ছাড়া শাকিল নামে গুরুতর আহত একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, আমি মুন্না নামে একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি, এখনো লাশ দেখিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন ও মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের আধিপত্য বিস্তার থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
