ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনিয়ন ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লোগো
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অপব্যবহার এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিদের নিয়োগই এই সংকটের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহার করার আগে এই ব্যাংকগুলো লাভজনক ছিল। সাধারণ মানুষের জমা করা বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট হয়েছে, যার ফলে বর্তমান সংকট দেখা দিয়েছে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই লুটপাটের ফলে ব্যাংকগুলোর ব্যাপক লোকসান হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর এস আলম গ্রুপ এবং তাদের সহযোগীদের কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতিপূর্ণ কাগজপত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে।
লুট হওয়া অর্থ সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে সমস্যায় পড়ছে এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনিয়ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে এই সময়ে ১,৬৬৩.৩৮ কোটি টাকা লোকসানের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এবি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকসহ আরও দশটি ব্যাংকের লাভও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।