ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার বর্তমান সংবিধান সংস্কারের জন্য ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সরকারব্যাবস্থা গড়ে তোলার রূপরেখা তুলে ধরতে হবে। সংবিধানে নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজনের মাধ্যমে নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হয়রানি ও গুম থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় পৃথক বিচারবিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বাজেট গঠনের সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংবিধানে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিতে গণমানুষের বিশ্বাস ও আকাঙ্খার প্রতিফলন অনুপস্থিত। ইসলামকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই মূল্যবোধ ও চেতন ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রেরণা ছিল। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নতুন সংবিধানে হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতার জন্য সিন্ডিকেট পরিহার করে কর্মীদের দক্ষতা অর্জনে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় নাগরিক পরিষদ আয়োজিত সংবিধান সংাস্কার প্রস্তাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বৈঠকে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠ করেন ব্যারিস্টার এফ. রহমান। মুফতি হারুন ইযহারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, সাবেক সচিব এস এম জহিরুল ইসলাম,বিশিষ্ট কবি অধ্যাপক আব্দুল হাই শিকদার, কবি রেজাউল করিম রনি, মুফতি কাজী ইব্রাহিম, অধ্যাপক আসিফ মাহতাব উৎস, সমন্বয়ক মাহিন সরকার, ইঞ্জিনিয়ার এম এ আব্দুল হাদি, তালুকদার মনিরুজ্জামান মনির, রিদওয়ান হাসান, আসিফ আদনান, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭২ এর সংবিধান অবৈধ সংবিধান। ৯২% মুসলমানের দেশে সংবিধানে শরীয়তের আইনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সমকামিকে প্রমোটকারী উপদেষ্টা দিয়ে এই সংবিধান সংশোধন হবে না। যোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমেই সংবিধানকে পুনগঠন করতে হবে। এদেশের জনগণ ধর্মহীন নাস্তিক বানানোর সংবিধানকে আর বরদাশত করবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণঅভ্যুত্থানে এবারের স্বাধীনা ভারত থেকে মুক্তির স্বাধীনতা। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পুর্ননির্ধারণ করতে হবে। কেউ দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তারা বলেন, বিদেশ থেকে আনা মতবাদ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সংবিধানে। নতুন সংবিধানে ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সা¤্রাজ্যবাদ ফ্যাসিবাদকে চিরতরে বিতারিত করতে হবে তবেই মানবাধিকার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।