শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কতিপয় নেতাকর্মীর আবির্ভাব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
বুধবার (১২ মার্চ) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কুখ্যাত গণজাগরণ মঞ্চের (শাহবাগী) কতিপয় নেতাকর্মীর আবির্ভাব কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। এই মঞ্চের মাধ্যমে জুডিসিয়াল কিলিং, বাংলাদেশের আলেম সমাজের ওপর নির্মম নির্যাতন, ২০১৪ সালে খুনি হাসিনার ক্ষমতা দখল এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলমত দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ পরবর্তী ১০ বছর ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের ভিত গড়ে তোলা হয়েছিল।’
এ সময় পোস্টে ‘এদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই’ বলেও মন্তব্য করেন ইশরাক।
পোস্টে ইশরাক হোসেনের উদ্দেশে এমডি কিবরিয়া নামের একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘এদেরকে কিছু করে দেখান, তাহলে আমরা আপনাকে তরুণদের কাঙ্ক্ষিত নেতা মানব।’
উত্তরে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এদের জন্য পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট। আইন হাতে তুলে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে এরাই সেটার সুযোগ নেবে। দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাবে। এসব শাহবাগী জঞ্জাল আমাদের জন্য ৩০ মিনিটের ব্যাপার কিন্তু বিশৃঙ্খলা বাড়ানো যাবে না।’
দেশজুড়ে অব্যাহত নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ অঙ্গন। প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ধর্ষণ, খুন, ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকালে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের সদস্যের সঙ্গে পুলিশের মারামারি হয়েছে। সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাম ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলো। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি আগামী ১৫ মার্চ (শনিবার) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে গণমিছিলের ডাক দেন তারা।
এ অবস্থায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ-২ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।