Saturday, March 15, 2025

ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছেন ড. ইউনূস, কূটনীতিকের বিস্ফোরক স্ট্যাটাস

আরও পড়ুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমনটি দাবি করেছেন কানাডায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হারুন-উর রশিদ।

মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশি ওই রাষ্ট্রদূত সামাজিক মাধ‍্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে ইংরেজিতে একটি বিশাল স্ট্যাটাস দেন। বাংলাদেশি কূটনৈতিকের স্ট‍্যাটাসের বাংলা অনুবাদ হুবহু এখানে দেয়া হলো।

বাংলাদেশ এবং আমার জন্য একটি আবেদন। বিষয়: ড. ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের নৈরাজ্যের দিকে পতন—বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক। মানবতার বিবেকের উদ্দেশে: বাংলাদেশ আজ নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছড়িয়ে দেয়া বর্বরতার শিকার। লাখো মানুষ এক ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি—মৃত্যু, নির্বাসন, অথবা উগ্রপন্থার কাছে আত্মসমর্পণ।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, দেশটি তার ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায়ের মুখোমুখি হয়—একটি সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী আক্রমণ, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে বাংলাদেশের ভিত্তিকে নড়িয়ে দেয়। যখন দেশ জ্বলছিল এবং শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছিল, মুহাম্মদ ইউনূস তখন আত্মপ্রকাশ করেন দখলদার হিসেবে।

আরও পড়ুনঃ  খালে জাল টেনে খোঁজা হচ্ছে এমপি আনারের লাশের টুকরো

এই ঘটনা ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে? হয়তো এটি হবে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সফল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড—যা এক রাতের মধ্যে গোটা দেশকে বদলে দিয়েছে।

একটি সন্ত্রাসী আন্দোলনের উত্থান, এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: বছরের পর বছর ধরে ডিজিটাল সন্ত্রাসীরা, যেমন পিনাকী ভট্টাচার্য ও ইলিয়াস হোসাইন পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে উগ্রপন্থার বিস্তার ঘটিয়েছে। তারা অনলাইনে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্স থেকে পিনাকী এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস কীভাবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরকে ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে—তা দেখলেই তাদের ভয়াবহতা বোঝা যায়।

আরও পড়ুনঃ  জবির ঐক্যের মঞ্চে থাকবেন হাসনাত-রাকিব-মঞ্জুরসহ ১২ সংগঠনের নেতা

অন্যদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত জিহাদিরা—যেমন ফরহাদ মজহার ও জাহেদুর রহমান—শেখ হাসিনার বাকস্বাধীনতার নীতির সুযোগ নিয়ে উগ্রপন্থার প্রচার চালিয়েছে। তারা হিন্দু ও ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র এই কারণে যে শেখ হাসিনার শাসনে বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদ ছিল।

তাদের মিথ্যাচার বাংলাদেশি মুসলিমদের মনে ভারতবিদ্বেষকে এক মানসিক ব্যাধিতে পরিণত করেছে, যা উগ্রপন্থার পথ সহজ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের পরিচয় ধ্বংস: ইউনূসের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই জিহাদিরা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ধ্বংস করেছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ

তারা শুধু জাদুঘর, ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও সাংস্কৃতিক প্রতীক ধ্বংস করেনি; শত শত সুফি দরগাহ এবং হিন্দু মন্দিরও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ইউনূসের শাসনে বাংলাদেশ নারীদের প্রতি সবচেয়ে নির্যাতনমূলক দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, আর হিজবুত তাহরির, আইএস ও আল-কায়েদা প্রকাশ্যে তাদের লাল-কালো পতাকা উড়িয়ে ইসলামি খিলাফতের দাবি জানাচ্ছে। জুলাই-আগস্ট মাসের সন্ত্রাসীরা এদের মধ্য থেকেই উঠে এসেছে।

কিন্তু ড. ইউনূস শুধু তাদের রক্ষা করেননি—তাদের ক্ষমতাও দিয়েছেন। তার সরকারে সন্ত্রাসীরা মন্ত্রী হয়েছে, আর যাদের তিনি মন্ত্রিত্ব দিতে পারেননি, তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ