ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করেন আলমগীর হোসেন (২০)। মা আনোয়ারা বেগম (৬৪)-এর অসুস্থতার খবরে মায়ের বিকাশ নম্বরে ১২ হাজার টাকা পাঠান তিনি। এই টাকা পাশের বাজারের একটি দোকান থেকে উত্তোলন করতে যাওয়ার সময় প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অল্প দামে দামে নকল সোনা কিনে সব টাকা খুইয়েছেন আনোয়ারা।
ওই নারীর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার পাঁচপাড়া মহল্লায়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের সরকারি পলিটেনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই।
ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ওই দিন দুপুর ১টার দিকে ছেলের পাঠানো টাকা নিজের মোবাইল ব্যাংকিং থেকে উত্তোলনের জন্য বাড়ির অদূরে একটি বাজারের দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে রওনা হই। পথে দুই যাত্রী ওঠেন। ওই সময় পাশেই বসে হঠাৎ তার হাতে একটি সোনার বার দিয়ে প্রতারকরা বলে এই সোনার বারটি পথে পেয়েছে তারা।
একটি চিরকুট প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে তারা বলে, এটি ২২ ক্যারেট সোনার বার। ২০ হাজার টাকা দিলেই বিক্রি করে দেবে। এ কথা কাউকে বলা যাবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক পর্যায়ে তাদের (প্রতারক) কাছে থাকা একটি কৌটা খুলতেই পাউডারের মতো কিছু একটা বের হয়।
পরক্ষণেই তাদের কথা মতো মোবাইল দিয়ে পাসওয়ার্ডটিও বলে দিলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সোনার বার ও মোবাইল ফেরত দেয় তারা। পরে তিনি বাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারি যে সোনার বারটি নকল।’
নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘প্রতারকচক্র টার্গেট করে নারীদের বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে এ ধরনের অপরাধ করে থাকে। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।