সম্প্রতি ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় পুরো দেশ যখন স্তম্ভিত, তখন চিকিৎসার জন্য ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল থেকে নেয়া হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। জঘন্য এ অপরাধসহ সব ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের ভঙ্গুর আইন ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ক্যাপশনে দেয়া ওই স্ট্যাটাসটিতে ইতোমধ্যে ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ স্ট্যাটাসটির মন্তব্যের ঘরে নানা মন্তব্য করেছেন।
স্ট্যাটাসে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘মাগুরায় বোনের শ্বশুর কর্তৃক আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা পুরো দেশকে স্তম্ভিত করেছে। এরকম পৈশাচিক ঘটনা এ দেশে এই প্রথম নয়। বারবার কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, এখন সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজা জরুরি।’
ক্যাপশনে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রশাসনিক দুর্বলতা, আইনের শাসনের অভাব এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি কতটা প্রকট হলে অপরাধীরা বারবার এই ধরনের ন্যক্কারজনক অপরাধ সাহস পায়! অপরাধীরা জানে, এ দেশে টাকা দিয়ে সব ‘‘ম্যানেজ’’ করা যায়। তাইতো অপকর্ম করার আগে তারা একবারও ভাবে না। যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভঙ্গুর আইন ও বিচারব্যবস্থার কারণে এই যে অপরাধগুলো ঘটছে, এর দায় আসলে কে নেবে! অর্থনৈতিক দুর্বলতায় আমাদের দুঃখ নেই। কিন্তু আমরা সুশাসন চাই।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ দেশ চাই, যেখানে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পাবে না। যেখানে অপরাধীরা অপরাধ করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। যে দেশের প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থার ওপর সকল মানুষ আস্থা রাখবে। তেমন স্বপ্নের দেশ আমরা কবে পাব? আর এতদিনের ব্যর্থতার দায় কার?’
এছাড়াও স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০১২ সালে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড, রিশা হত্যাকাণ্ড (২০১৬), বনানীর দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা, ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যার মতো আরও অসংখ্য লোমহর্ষক এবং আলোচিত অপরাধ নিকট অতীতে সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু কোনো অপরাধীই এমন কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়নি, যা সাধারণ জনগণকে আশ্বস্ত করেছে। যার ফলে এই ধরনের অপরাধ দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না।